শ্রমিকরা আমাদের উন্নয়নের সহযোগী : আ’লীগ নেতা ডাবলু সরকার

শ্রমিকরা আমাদের উন্নয়নের সহযোগী : আ’লীগ নেতা ডাবলু সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : একজন শ্রমিক তার মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে যে পণ্য উৎপাদন করেন, তা ভোগ করেই আমরা বেঁচে থাকি। যে জাতি যতবেশি দক্ষ ও যোগ্য শ্রমিকসমৃদ্ধ সে জাতি তত উন্নত। যেহেতু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান অপরিহার্য সেহেতু শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক সন্তোষজনক হওয়া বাঞ্ছনীয়।

আবার এই সম্পর্ক নির্ভর করে শ্রমিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যাপারে মালিকের দৃষ্টিভঙ্গি ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর। একজন শ্রমিক সমাজ বা পরিবার বিচ্ছিন্ন কোনো ব্যক্তি নন। তিনি সমাজের যেমন একজন সদস্য তেমনি পরিবারের হয় কর্তা না হয় রোজগারী ব্যক্তি। তার ওপর পরিবারের ভরণপোষণ, সন্তানের লেখাপড়া, পিতামাতার দেখাশোনা অনেককিছু নির্ভর করে।

গতকাল বুধবার পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীর কুমারপাড়াস্থ বিআরটিসি কার্যালয়ে মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির এবস কথা বলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।

তিনি বলেন, এবারের স্লোগান হলো, শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি। সেই জন্য আমাদের মনে রাখতে হবে শ্রমিকরা জাতীয় সম্পদ। বিদেশে শ্রমশক্তি রফতানি করে আমরা বিপুল পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্র্রা উপার্জন করি। এজন্য শ্রমিক আন্দোলন রাজনৈতিক আন্দোলনের বাহন না হয়ে শ্রমিকদের প্রকৃত কল্যাণে ব্রতী হবে এটাই আমাদের কামনা। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে জীবনদানকারী সেসব শ্রমিকদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। সেই সঙ্গে সারা বিশ্বের মেহনতি মানুষের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সব শ্রমিকের জীবন।

এর আগে মহান মে দিবস উপলক্ষে বিআরটিসি সমবায় সমিতির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুমারপাড়াস্থ বিআরটিসি কার্যালয়ে এসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, ১৬ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি মুনতাজ আহম্মেদসহ বিআরটিসি সমবায় সমিতি সকল কর্মচারীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, আজ থেকে ১২৭ বছর আগে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরিচালিত এক বিক্ষোভ আন্দোলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হে মার্কেটে পুলিশের নৃশংস হামলা ও গুলিবর্ষণে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়।

অধিকার আদায়ের জন্য এই শ্রমিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন দুনিয়াব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তাদের কর্মক্ষেত্রে কাজের অনুকূল পরিবেশ প্রতিষ্ঠা, শ্রমিক মালিক সম্পর্ক, মজুরি নির্ধারণ এবং দৈনিক সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ণয়ে সহায়তা করেছিল। 

মতিহার বার্তা ডট কম০২ মে ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply